১৯ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার যোগ্যতা ২০২৪ [স্কুল, স্কুল-২ ও কলেজ] শিক্ষকতা একটি মহৎ পেশা। শিক্ষকেরা জাতির ভবিষ্যৎ তৈরির কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাই শিক্ষক হতে হলে কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা অর্জন করা আবশ্যক।
এই ব্লগ পোস্টে আমরা আলোচনা করবো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে।
১৯তম নিবন্ধন শিক্ষাগত যোগ্যতা:
শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ভর করে কোন স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করতে চান তার উপর।
১৯তম স্কুল ২ পর্যায়ের শিক্ষক:
- সর্বনিম্ন HSC বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
স্কুল পর্যায়ের শিক্ষক:
- সর্বনিম্ন স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে।
- যে বিষয়ে শিক্ষকতা করতে চান সেই বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে।
কলেজ পর্যায়ের শিক্ষক:
- সর্বনিম্ন স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করতে হবে।
- যে বিষয়ে শিক্ষকতা করতে চান সেই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করতে হবে।
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার আবেদনের যোগ্যতা:
- কমপক্ষে স্নাতক হতে হবে।
- অধিকতর যোগ্যতা থাকলে কোনো বাধা নেই।
- পরীক্ষায় অবতীর্ণ প্রার্থীদের আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়।
- সদ্য পাস করা প্রার্থীরা নিম্নলিখিত কাগজপত্র সহ আবেদন করতে পারবেন:
- সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেওয়া প্রশংসাপত্র
- টেব্যুলেশন শিট
- মার্কশিট
- প্রবেশপত্র
- শিক্ষাজীবনে যেকোনো একটিমাত্র তৃতীয় বিভাগ বা সমমনা জিপিএ গ্রহণযোগ্য।
- শিক্ষাজীবনে একবারের বেশি তৃতীয় বিভাগ বা সমমনা জিপিএ থাকলে অনুপযুক্ত।
দ্রষ্টব্য:
- উপরোক্ত তথ্য পরিবর্তন হতে পারে।
- সর্বশেষ তথ্যের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট দেখুন।
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার যোগ্যতা ২০২৪
- স্কুল শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার যোগ্যতা: কমপক্ষে স্নাতক (সম্মান) বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
- স্কুল পর্যায়-২:
- সাধারণ বিষয়: কমপক্ষে স্নাতক (সম্মান) বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
- ধর্মীয় বিষয়:
- ইসলাম: আলিম (পূর্ণাঙ্গ) বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
- হিন্দু: উচ্চ মাধ্যমিক (হিন্দু ধর্ম) বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
- কলেজ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার যোগ্যতা:
- সাধারণ বিষয়: কমপক্ষে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।
- ধর্মীয় বিষয়:
- ইসলাম: ফাজিল (পূর্ণাঙ্গ) বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
- হিন্দু: শাস্ত্রী (পূর্ণাঙ্গ) বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
- কারিগরি শিক্ষা:
- সম্পর্কিত ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত ডিগ্রি (যেমন: ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল)।
কলেজ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার অন্যান্য যোগ্যতা:
- বাংলা ভাষায় কথা বলা ও লেখার দক্ষতা।
- বাংলাদেশের সংবিধান ও ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞান।
- শিক্ষকতায় আগ্রহ ও যোগ্যতা।
- শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকা।
- ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ বয়স ৩৫ বছর।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
- সদ্য পাস করা প্রার্থীরা:
- সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেওয়া প্রশংসাপত্র
- মার্কশিট
- প্রবেশপত্র সহ আবেদন করতে পারবেন।
- শিক্ষাজীবনে যেকোনো একটিমাত্র তৃতীয় বিভাগ বা সমমনা জিপিএ গ্রহণযোগ্য।
- শিক্ষাজীবনে একবারের বেশি তৃতীয় বিভাগ বা সমমনা জিপিএ থাকলে অনুপযুক্ত।
আবেদন প্রক্রিয়া:
- অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করে আবেদন গ্রহণ করা হবে।
- প্রাথমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
- লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
- চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বলে গণ্য করা হবে।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য:
- বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (NTRCA) ওয়েবসাইট: http://ntrca.teletalk.com.bd/
মাদ্রাসা শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার যোগ্যতা
মাদ্রাসা শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার যোগ্যতা:
স্কুল ২ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার যোগ্যতা:
দাখিল (সম্পূর্ণ) / সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
আরবি ভাষায় ন্যূনতম ‘দাখিল (সম্পূর্ণ)’ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
স্কুল শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার যোগ্যতা:
আলিম (সম্পূর্ণ) / সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
আরবি ভাষায় ন্যূনতম ‘আলিম (সম্পূর্ণ)’ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
কলেজ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার যোগ্যতা:
ফাজিল (সম্পূর্ণ) / সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
আরবি ভাষায় ন্যূনতম ‘ফাজিল (সম্পূর্ণ)’ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার যোগ্যতা
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা: যোগ্যতা, প্রস্তুতি ও পরীক্ষার টিপসঃ শিক্ষকতা একটি মহৎ পেশা। ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞান দান করে, তাদের জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সাহায্য করে শিক্ষক। অনেকেই এই মহৎ পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চান। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করার জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া আবশ্যক।
এই ব্লগ পোস্টে আমরা আলোচনা করবো: বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার যোগ্যতা, পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি ও পরীক্ষার টিপস সম্পর্কে।
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার নিয়মাবলী
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করার জন্য “বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ” (NTRCA) কর্তৃক পরিচালিত শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া আবশ্যক। এই পরীক্ষা তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হয়: প্রিলিমিনারী পরীক্ষা এবং লিখিত পরীক্ষা এবং ভাইবা পরিক্ষা।
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার জন্য আবেদন:
- অনলাইনে আবেদন: NTRCA-এর ওয়েবসাইট (http://ntrca.teletalk.com.bd/) মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
- আবেদনের সময়: প্রতিবছর নির্ধারিত সময়সূচী অনুযায়ী আবেদন করা যায়।
- যোগ্যতা যাচাই: আবেদনপত্র যাচাই করে যোগ্য প্রার্থীদের পরীক্ষার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়।
১। প্রিলিমিনারি পরিক্ষা
- একটি (MCQ প্রশ্ন পরীক্ষা।
- বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান এবং গণিত বিষয়ে প্রশ্ন থাকে।
- উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য প্রতিটি বিষয়ে ন্যূনতম ৪০% নম্বর পেতে হবে।
২। লিখিত পরীক্ষা:
- উত্তীর্ণ প্রার্থীরা লিখিত পরীক্ষার জন্যে যোগ্য হন।
- বিষয়: স্কুল পর্যায়-১ (প্রাথমিক বিদ্যালয়): বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান
- স্কুল পর্যায়-২ (মাধ্যমিক বিদ্যালয়): বাংলা, ইংরেজি, সংশ্লিষ্ট বিষয় (যেমন: গণিত, বিজ্ঞান, বাণিজ্য, কলা)
- কলেজ পর্যায় যোগ্যতা: বাংলা, ইংরেজি, সংশ্লিষ্ট বিষয় (যেমন: গণিত, বিজ্ঞান, বাণিজ্য, কলা)
- উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য প্রতিটি বিষয়ে ন্যূনতম সামগ্রিকভাবে ৫০% নম্বর পেতে হবে।
এনটিআরসিএ মৌখিক পরীক্ষা:
- লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা মৌখিক পরীক্ষার জন্যে যোগ্য হন।
- মৌখিক পরীক্ষায় শিক্ষকতায় প্রার্থীর আগ্রহ, যোগাযোগ দক্ষতা, ব্যক্তিত্ব ও মানসিক যোগ্যতা যাচাই করা হয়।
শিক্ষক নিবন্ধন সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে:
উত্তীর্ণ প্রার্থীরা NTRCA থেকে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ পাবেন।
বেসরকারি (NTRCA) শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা পদ্ধতি:
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ধাপ:
- প্রিলিমিনারি পরীক্ষা:
- ১০০ নম্বরের পরীক্ষা।
- ৪০% নম্বর পেলে সাধারণত উত্তীর্ণ।
- লিখিত পরীক্ষা:
- উত্তীর্ণ প্রার্থীদের জন্য।
- নম্বরের ভিত্তিতে পরীক্ষা।
- মৌখিক পরীক্ষা:
- লিখিত পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের জন্য।
শিক্ষক নিবন্ধন প্রিলিমিনারি পরীক্ষা: বিষয় ও মানবন্টন
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার বিষয় ও মানবন্টন নীচে দেওয়া হলো:
বিষয় | নম্বর বন্টন |
বাংলা | ২৫ |
ইংরেজি | ২৫ |
গণিত | ২৫ |
সাধারণ জ্ঞান | ২৫ |
মোট | ১০০ |
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে:
- পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি (নীল ব্যাকগ্রাউন্ড):
- স্ক্যান করে আবেদনপত্রে সংযুক্ত করতে হবে।
- আবেদনকারীর স্বাক্ষর থাকতে হবে।
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র ও নম্বরপত্র:
- মূল সনদপত্র ও নম্বরপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
- প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত।
- প্রশিক্ষণ সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে):
- মূল সনদের সত্যায়িত ফটোকপি।
- প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত।
- নাগরিকত্বের সনদ:
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) / জন্ম সনদ / বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রমাণপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
- প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত।
ডাকযোগে পাঠাতে হবে:
- আবেদনপত্রের প্রিন্টেড কপি:
- সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সাথে সংযুক্ত।
- সত্যায়িত কাগজপত্রের ফটোকপি:
- উপরে উল্লেখিত সকল কাগজপত্রের।
- খাম:
- স্কুল শিক্ষক নিবন্ধনের জন্য হলুদ খামে।
- কলেজ শিক্ষক নিবন্ধনের জন্য খাকি খামে।
- ঠিকানা:
- বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ, নায়েম ক্যাম্পাস, একাডেমিক ভবন (ষষ্ঠ তলা), ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৫।
- সময়সীমা:
- নির্ধারিত সময়ের মধ্যে।
- খামের উপরে উল্লেখ করতে হবে:
- কততম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার জন্য আবেদনপত্র।
- পদের নাম।
- বিষয়ের নাম।
১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনে আবেদন প্রক্রিয়া:
- নিবন্ধন: ntrca.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে যান এবং “রেজিস্ট্রেশন” বাটনে ক্লিক করুন।
- ফরম পূরণ: নির্দেশ অনুযায়ী সকল প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন।
- আবেদন ফি প্রদান:
- যেকোনো টেলিটক মোবাইল থেকে 800106# ডায়াল করে 350 টাকা প্রদান করুন।
- অথবা, মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ ব্যবহার করে টাকা প্রদান করুন।
- নিশ্চিতকরণ:
- সফলভাবে আবেদন এবং ফি প্রদানের পর, আপনি একটি নিশ্চিতকরণ এসএমএস পাবেন।
- এসএমএসে প্রাপ্ত ইনভয়েস নম্বর এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করুন।
- প্রিন্ট করা কপি সংরক্ষণ:
- অনলাইনে পূরণকৃত আবেদনপত্রের একটি প্রিন্টেড কপি সংরক্ষণ করুন।
- এসএমএসে পাওয়া সিরিয়াল নম্বরটি প্রিন্ট কপির নির্দিষ্ট স্থানে উল্লেখ করুন।
আরও পড়ুন
১৯ তম শিক্ষক নিবন্ধন প্রিলিমিনারি সিলেবাস ও মানবন্টন ২০২৪