১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন প্রত্যাশী সকলকে নতুন আরেকটি ব্লগে স্বাগতম। আসসালামু আলাইকুম আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন। ইতোমধ্যে আপনারা জেনেছেন যে এই ওয়েবসাইটে এনটিআরসিএ এর সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়ে থাকে। কিছুদিন আগেই 19 তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রিলিমিনারি সিলেবাস, লিখিত সিলেবাস এবং ভাইভা পরীক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
আজকের ব্লগে আমরা ১৯ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার পরীক্ষা পদ্ধতি ও মানবন্টন সম্পর্কে আলোচনা করতে যাচ্ছি। আশা করি শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকবেন।
১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা পদ্ধতি
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন মূলত একটি বেসরকারি সংস্থা। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্থাৎ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ করা হয়ে থাকে।
এই বেসরকারি সংস্থাটি প্রতিবছর সার্কুলার প্রকাশ করে থাকে। ইতোমধ্যে ১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধন সার্কুলার শেষ হয়েছে। এবং আশা করা যায় কিছুদিনের মধ্যেই 19 তম শিক্ষক নিবন্ধন সার্কুলার প্রকাশ করবে।
তবে আমরা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জানতে পেরেছি যে, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা ৩ পদ্ধতিতে হবে। অর্থাৎ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পদ্ধতি তিনটি।
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার তিনটি স্টেপের মধ্যে হচ্ছে-
১। শিক্ষক নিবন্ধন প্রিলিমিনারি পরীক্ষাঃ
এই এস্টেপে মূলত 100 টি এমসিকিউ প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। যেখানে পূর্বে সিলেবাস প্রকাশিত বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়। সিলেবাসে থাকা বিষয়গুলো হলো -বাংলা ইংরেজি গণিত এবং সাধারণ জ্ঞান।
প্রতিটি বিষয় থেকে ২৫ টি করে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। এবং প্রতিটি প্রশ্নের ওই নেগেটিভ মার্ক করা থাকে। অর্থাৎ প্রতিটি পোষ্টের ভুল উত্তরের জন্য অবশ্যই
যাইহোক শিক্ষক নিবন্ধন প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১০০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ১০০ নম্বরের মধ্যে ৪০% নাম্বার পেলে পাস হিসাবে গণ্য করা হয়। দ্বিতীয় স্টেপে শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। অর্থাৎ যারা শিক্ষক নিবন্ধন পিলিমিনারি পরীক্ষায় পাশ করে থাকে শুধু তাদেরকেই লিখিত পরীক্ষার জন্য মেসেজ প্রদান করা হয়।
২। শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষা
১৯ তম শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। কারণ ইতিমধ্যে মাত্র 18 তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে আশা করা যায় 2025 সালের প্রথম দিকে 19 তম শিক্ষক নিবন্ধন সার্কুলার প্রকাশ করা হবে। সার্কুলার প্রকাশিত হলে প্রথমদিকে শিক্ষক নিবন্ধন প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অনুষ্ঠিত হবে। এবং এই প্রথম স্টেপে উত্তিন ওদের লিখিত পরীক্ষার জন্য সিলেক্ট করা হবে।
শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষায় মূলত 100 নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়ে থাকে। এই লিখিত পরীক্ষামূলক বিষয় ভিত্তিক নেওয়া হয়। অর্থাৎ আপনি নিবন্ধন পরীক্ষায় যে সকল বিষয়ে পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিলেন। অর্থাৎ আপনি যে বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন সেই বিষয়ে থেকে ১০০ নম্বরের একটি লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে।
অর্থাৎ আপনার বিষয় যদি বাংলা হয়ে থাকে তাহলে বাংলা বিষয় সিলেক্ট করে নিবন্ধন আবেদন করতে হবে। পরবর্তী ধাপ লিখিত পরীক্ষায় বাংলা বিষয় থেকে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নিবে। যেখান থেকে ফিফটি পার্সেন্ট এর উপরে নাম্বার পেতে হবে।অর্থাৎ লিখিত পরীক্ষায় যত বেশি নাম্বার অর্জন করতে পারবেন আপনার চাকরি হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি রয়েছে।
লিখিত পরীক্ষা মূলত বিষয় ভিত্তিক হবে। আর লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। এখানে শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি ও সাজেশন প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
এছাড়া শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য একাডেমিক বিষয়গুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করুন। এরপর নবম দশম শ্রেণীর বইগুলো একটু রিভাস করে নিন। শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষায় মূলত কঠিন প্রশ্ন করা হয় না। অতএব পরীক্ষা দেওয়ার আগেই গাভড়াবেন না।
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার দ্বিতীয় স্টেপ উত্তীর্ণ হলে আপনাকে শিক্ষক নিবন্ধনের তৃতীয় স্টেপে উত্তীর্ণ করা হবে। তৃতীয় স্টেপে আপনাকে শিক্ষক নিবন্ধন ভাইবা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এই ভাইবা পরীক্ষায় মূলত নাম্বার থাকে ২০। যেখান থেকে 100 জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় সকলকেই পাশদেওয়া হয়ে থাকে।
৩। শিক্ষক নিবন্ধন ভাইবা পরীক্ষাঃ
শিক্ষক নিবন্ধন ভাইবা পরীক্ষায় মূলত একজন পরীক্ষার্থীর মূলত উপস্থিতি ও অন্যান্য বিষয়ে দেখে থাকে। অর্থাৎ শিক্ষক নিবন্ধন ভাইবা পরীক্ষায় ফেল করানো হয় না বললেই চলে।
নিবন্ধন ভাইবা পরীক্ষা মূলত একটি সহজ পদ্ধতি। এখানে পরীক্ষার্থীর উপস্থিত হতে পারলেই পরীক্ষার্থীকে পাস দেওয়া নাম্বার হয়ে থাকে। আপনি যদি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পরিমার্জিত এবং সুন্দর ব্যবহার করে থাকেন। তাহলে নিশ্চিত থাকেন আপনি পাস করবেন।
ভাইভা পরীক্ষায় বিশ নম্বর বরাদ্দ থাকে। এখানে একাডেমিক সার্টিফিকেট এবং উপস্থিতি এবং সুন্দর ব্যবহার এর জন্য নাম্বার দেওয়া হয়।
সম্মানিত উপস্থিতি, উপরে আমরা 19 তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে সামান্য ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা পাবেন। এছাড়া আজকের আর্টিকেল থেকে কোন প্রশ্ন অথবা মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে আমাকে জানাতে পারেন।
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার মাধ্যমে কোন মামা খালা অথবা ঘুষ প্রদান ছাড়াই চাকরি পেতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করে তিনটি স্টেপ পাস করে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
১৯ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার সিলেবাস ও মানবন্টন ২০২৫
ইতোমধ্যে আমাদের ওয়েবসাইটে 19 তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইবা পরীক্ষার সিলেবাস ও মানবন্টন প্রকাশ করা হয়েছে। আপনারা অনেকেই শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার সিলেবাস সম্পর্কে ধারণা না রেখে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে থাকেন। তার ফলে বেশিরভাগ পরীক্ষার্থী 19 তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় প্রথম স্টেপ পাস করতে পারেন না।
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় প্রথম বারেই উত্তীর্ণ হতে হলে আপনাকে সিলেবাস বিষয় স্পষ্ট ধারণা রেখে গোছালো প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে।
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় মূলত প্রতিযোগী হয়ে থাকে অনেক বেশি। তাই আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। শুধু কঠোর পরিশ্রম করলেই হবে না। আপনাকে অবশ্যই সিলেবাস বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা রেখে পরিশ্রম করতে হবে।
১৯ তম শিক্ষক নিবন্ধন সিলেবাস ও মানবন্টন দেখুন
কোন পদগুলোতে শিক্ষক নিবন্ধন চাকরি পাওয়া যায়?
NTRCA এর প্রধান কাজ হলো শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা আয়োজন করা এবং সাফল্যজনক প্রার্থীদের প্রত্যয়ন প্রদান করা। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদরাসাসহ বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষকদের যোগ্যতা যাচাই করা হয়।
NTRCA-এর মাধ্যমে নিচের পদগুলোতে চাকরির সুযোগ পাওয়া যায়:
- সহকারী শিক্ষক: নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, এবং উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।
- মাদরাসার সহকারী শিক্ষক ও সহকারী মৌলবি।
- এবতেদায়ি মাদরাসার এবতেদায়ি প্রধান।
- প্রদর্শক ও শরীরচর্চা শিক্ষক।
- কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক।
১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন সিলেবাস সংক্রান্ত বিস্তারিত জানতে এখানে দেখুন