বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে উন্নত করতে ও নতুন প্রজন্মের জন্য মানসম্মত শিক্ষকের নিয়োগ নিশ্চিত করতে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। শিক্ষক নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুধু একটি পরীক্ষা নয়; এটি একজন শিক্ষকের দক্ষতা, যোগ্যতা, এবং পেশাগত প্রস্তুতির মূল্যায়ন।
বর্তমানে ১৮তম নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান এবং শিগগিরই ফলাফল প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। পরবর্তী ধাপে, ১৯তম নিবন্ধনের জন্য আগ্রহী প্রার্থীরা যেন আগেভাগে তাদের প্রস্তুতি শুরু করেন। কারণ, একটি সুদক্ষ পরিকল্পনা এবং সঠিক প্রস্তুতি যে কোনো পরীক্ষায় সাফল্যের প্রধান চাবিকাঠি।
এছাড়া, আসন্ন ২০তম শিক্ষক নিবন্ধন সার্কুলার নিয়ে অনেক আগ্রহ ও প্রত্যাশা দেখা যাচ্ছে। নতুন শিক্ষানীতি ও নিয়মাবলীর আলোকে এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া কেবল একটি চাকরির সুযোগ নয়, বরং দেশের শিক্ষা খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার এক বিরাট সুযোগ।
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা তিনটি ধাপে সম্পন্ন হয়—প্রিলিমিনারি, লিখিত, এবং ভাইভা। প্রতিটি ধাপেই প্রার্থীর সঠিক প্রস্তুতি ও আত্মবিশ্বাস প্রয়োজন। তাই যারা ভবিষ্যতে শিক্ষক হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাদের জন্য নিবন্ধন পরীক্ষা নিজেকে প্রমাণ করার এক সুবর্ণ সুযোগ।
এনটিআরসিএ অর্থাৎ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন করতে পক্ষ একটি বেসরকারি সংস্থা। এটির মাধ্যমে যে কোন সরকারই বেসরকারি হাই স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়ে থাকে।
ইতমধ্যে ১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা চলমান রয়েছে। আশা করা যায় কিছুদিনের মধ্যে 18 তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে। ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার কার্যক্রম সম্পন্ন হলে 19 তম শিক্ষক নিবন্ধন সার্কুলার প্রকাশ করা হবে।
১৯ তম শিক্ষক নিবন্ধন সার্কুলার কবে প্রকাশিত হবে?
সম্মানিত নিবন্ধন প্রত্যাশীর বন্ধুরা, 19 তম শিক্ষক নিবন্ধন সার্কুলার জন্য যারা অপেক্ষা করছেন তাদের জন্য সুখবর রয়েছে। 19 তম শিক্ষক নিবন্ধন সার্কুলারটিতে।
আপনারা যারা একান্তই শিক্ষক নিবন্ধনের মাধ্যমে চাকরি পেতে চান তারা এখন থেকেই লেগে পড়ুন। আপনি যত পূর্ব থেকে শিক্ষক নিবন্ধনের প্রস্তুতি নিবেন ততই আপনার জন্য ভালো হবে।
হোক নিবন্ধন পরীক্ষা তিনটি ধাপে সম্পন্ন হয়ে থাকে। শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ধাপ গুলো হলো –
১। শিক্ষক নিবন্ধন প্রিলিমিনারি পরীক্ষাঃ
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক শিক্ষক নিবন্ধনের প্রথম ধাপে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১০০ টি এম সি কিউ প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। যেখান থেকে ৪০% নাম্বার পেলে পাস হিসাবে ধরা হয়।
নিবন্ধন প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান অংশ থেকে প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। প্রতিটি বিষয় থেকে ২৫ টি করে এমসিকিউ প্রশ্ন করা হয় এবং সর্বমোট ১০০টি এমসিকিউ প্রশ্ন করা হয়।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য. ২৫ নাম্বার কাটা হয়। তবে পরীক্ষায় ৪০% নাম্বার পেলে পাস হতে পারবেন।
২। শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষাঃ
শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাশ করার পরে পুথীন্দ্র প্রার্থীকে শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষার জন্য মেসেজ প্রদান করা হয়। অর্থাৎ যারা ফিল্মির পরীক্ষায় পাশ করবে শুধুমাত্র তারাই লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষায় বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষা দিতে হয়। আবেদন করার সময় যেই বিষয়ে সিলেক্ট করেছেন অথবা আপনি যেই বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন সেই বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
লিখিত পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে যত বেশি নাম্বার ক্যারি করতে পারবেন ততই আপনার জন্য ভালো হবে। লিখিত পরীক্ষার ফলাফল শূন্য পদের ভিত্তিতে করা হয়ে থাকে।
৩। শিক্ষক নিবন্ধন ভাইবা পরীক্ষাঃ
শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা পরীক্ষায় সামান্য কিছু ফরমালিটি মেন্টেন করে টিকানো হয়ে থাকে। আপনি খুব সহজেই পাশ করতে পারবেন। এখানে আপনার উপস্থিতির জন্য নাম্বার দেওয়া হয় আপনার একাডেমিক কাগজপত্রের ভিত্তিতে ও নাম্বার দেওয়া হয়ে থাকে।
তবে আশা করা যায় শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা পরীক্ষায় কোন প্রার্থীকে ফেল করানো হয় না। আপনি যদি দুটি স্টেপ পাস করতে পারেন তাহলে ভাইভা পরীক্ষায় খুব সহজেই পাশ করতে পারবেন।
২০ তম শিক্ষক নিবন্ধন সার্কুলার ২০২৪
২০২৪ সালের জন্য ২০ তম শিক্ষক নিবন্ধন সার্কুলার প্রকাশিত হবে, যা শিক্ষাবিভাগের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিস্তারিত নির্দেশনা প্রদান করছে। এই সার্কুলারটির মাধ্যমে নতুন শিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া, যোগ্যতা, আবেদন পদ্ধতি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
২০ তম শিক্ষক নিবন্ধন সার্কুলার ২০২৪ শিক্ষকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ, যা তাদেরকে দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান রাখার সুযোগ প্রদান করবে। নতুন নিয়মাবলী ও পদক্ষেপগুলি দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষকদের নির্বাচনের জন্য প্রণীত হয়েছে, যা শিক্ষার মান উন্নতিতে সহায়ক হবে।
এই সার্কুলারটি নিয়ে আরও বিস্তারিত জানতে এবং আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট পরিদর্শন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
পুনরায় ই-রিকুইজিশন ফরম জমা দেওয়ার সময়সীমা বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তি
সম্মানিত সবাইকে জানানো যাচ্ছে যে, দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি) শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ই-রিকুইজিশন ফরম পূরণের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। পূর্বনির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ফরম জমা দিতে যারা ব্যর্থ হয়েছেন, তারা নতুন এই সময়সীমার মধ্যে ফরম জমা দিতে পারবেন।
যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনো ই-রিকুইজিশন ফরম পূরণ করেনি, তারা অবিলম্বে এটি সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ করা হলো। প্রতিষ্ঠানগুলোর সুবিধার্থে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের নির্দেশিকা ও প্রাসঙ্গিক তথ্য দেওয়া রয়েছে। তাই, এই সময়ের মধ্যে ফরম পূরণের কার্যক্রম শেষ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
এ বিষয়ে আরও জানানো যাচ্ছে যে, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪-এর পরে আর ই-রিকুইজিশন ফরম জমা দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। নতুন কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা হবে না।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এবং যেকোনো তথ্যের জন্য দ্রুত সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
প্রকাশক:
গাজী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ
পরিচালক (শিক্ষা ও প্রশাসন)
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (NTRCA), ঢাকা
সংযুক্তি:
১। আগের বিজ্ঞপ্তি।
২। ই-রিকুইজিশন ফরম পূরণের নির্দেশিকা।
তারিখ: ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪
এটি দেশের শিক্ষাক্ষেত্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ এবং সময়মতো ফরম পূরণের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শূন্যপদ পূরণের কাজ আরও সহজ হবে।
আরও পড়ুন
শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত সাজেশন ২০২৪ | Ntrca Written Special Suggestion 2024
এনটিআরসিএ নোটিশ | Ntrca update news সর্বশেষ কি